বাংলাদেশ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগমকে সংবর্ধনা প্রদান ও সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের কার্যালয়ে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক, প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ এর প্রধান সহকারী পরিচালক, নুহাশ চলচ্চিত্রের বর্তমান কর্ণধার, গুণী নির্মাতা মোহাম্মদ জুয়েল রানা।
গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বহুগ্রন্থ প্রণেতা, বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, সিলেট অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক, বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী মোঃ মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী আজম।
কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন কবির কলম এর সভাপতি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কবি এম এ হানিফ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির পরিচালনা পরিষদ এর সদস্য কবি ও কথাসাহিত্যিক এড. মানিক রতন শর্মা, সদস্য মোঃ জামিনুর রহমান, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক, কবি ও গীতিকার মোঃ আব্দুর রহিম। উদীচী জেলা শাখার সহ-সভাপতি, ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসুর রহমান, নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙরের জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, জেলা সদস্য, সাবেক প্রধান শিক্ষক কবি শিরিন আক্তার, সহকারি শিক্ষক কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, আইপি চ্যানেল পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ প্রমুখ।
সংবর্ধনার জবাবে সভায় অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত অতিথি এডভোকেট পুতুল বেগম। এসময় মালয়েশিয়া থেকে টেলিফোনে যুক্ত হয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান এডঃ পুতুল বেগমের ভাই বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী শরীফ আহমেদ রাজা। কবির কলমের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা, কবি শরিফ সরকার, কবি শরিফ উদ্দিন, কবি ইবনে মনির, সাবেক ছাত্রনেতা এম নাঈমুর রহমান, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, আতাউর রহমান, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ছোটকাল থেকে শিল্প, সাহিত্য সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক সুনাম শুনে আসছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু নেতিবাচক খবর দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে ভুল ধারণা জন্মে ছিল। আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে আমার সেই ভুল ভেঙেছে।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছেন এবং নানান কিছু দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের সাথে মিশে আমার মনে হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তার অতীত ঐতিহ্য যথার্থতার সঙ্গেই ধরে রেখেছে। তিনি তার বক্তব্যে পরবর্তীতে নাটক নির্মাণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেশন ও শিল্পী নির্বাচন করবেন বলে সকলের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় সংবর্ধিত অতিথি কে সম্মাননা স্মারক এবং অন্যান্য অতিথিগণকে বই ও ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথিও পাঠাগারে বই প্রদান করেন। সভাশেষে একটি উমুক্ত সাহিত্য-আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত কবিগণ স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
Leave a Reply